পাপুলের ১০ সহযোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা

শহিদুল ইসলাম পাপুল
বরখাস্তকৃত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুল তার ১০ সহযোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতো বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরইমধ্যে কুয়েতের আদালতে মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং এর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত পাপুল ওই দেশ ছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, সৌদি আরব ও দুবাইয়ে টাকা পাচার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে এসব প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে দুদকের।
মানি লন্ডারিংয়ের অপকর্মে তার সহযোগীরা হলো- নুর উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুবিনা ইসলাম রুবনা, তাদের পুত্র নভেরা শামস চৌধুরী, মেয়ে নুশাইবা শামস নেহা, ম্যাকসন্স গ্রুপ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলি খোকন ও তার স্ত্রী লায়লা আলি, তাদের দুই পুত্র সানজিদ হাসান ও নাভিল হাসান, মোহাম্মদ নোমান ও তার স্ত্রী শামসুন নাহার।
দুর্নীতি দমন কমিশন এরইমধ্যে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এই ১০ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের ট্রানজেকশনসহ অন্যান্য তথ্য চেয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওইসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, ঘুষ প্রদানের মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার পাপুলকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার (২৮ কোটি টাকা) জরিমানা করা হয় গত ২৮ জানুয়ারি। বিদেশি কোনো আদালত কর্তৃক কোনো বাংলাদেশি এমপিকে দণ্ডিত করার প্রথম ঘটনা এটি।
বাংলাদেশি এমপি ছাড়াও কুয়েতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া দু’জন কর্মকর্তাকেও চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছে দেশটির আদালত।
মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত ৬ জুন পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। এরপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্য রেমিটেন্স যোদ্ধা তথা সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং ঘুষ-উপহারের বিনিময়ে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তাদের।
পাপুলের কোম্পানি কুয়েতিয়া মারাফিতে ২০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন। তদন্তে এ পর্যন্ত জানা গেছে, কুয়েতে পাপুল বিভিন্ন ঘুষ এবং বিভিন্ন ধরনের উপহার-উপহার উৎকোচের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতেন।
কুয়েতি ব্যাংকে থাকা পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করার জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মানবপাচার, ঘুষ দেওয়া এবং অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং)। এর মধ্যে ঘুষ প্রদানের মামলার রায় হয়েছে।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরএডব্লিউ
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ